ঈদে মায়ের জন্য শাড়ি কিনে দিতে কঠোর পরিশ্রম করা কিশোর আসলামের পাশে দাঁড়ালেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তমাল হোসেন এবং আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় উপ-কমিটির সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহম্মদ আলী মোল্লা।
মঙ্গলবার ‘ঈদে মায়ের শাড়ি কেনার টাকা এখনো জমাতে পারেনি আসলাম’ শিরোনামে কিশোর আসলামকে নিয়ে একটি মানবিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কম।সংবাদ দেখার পরপরই আসলাম ও তার মাকে ডেকে ঈদের পোশাক, ঈদসামগ্রী ও নগদ অর্থ আসলামের হাতে তুলে দেন এই দুজন।
জাগো নিউজের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কিশোর আসলাম হোসেন পেশায় এখন ভ্যানচালক। বাবার মৃত্যুর পর রেখে যাওয়া শেষ সম্বল ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে এই কিশোর। নিজের ও মায়ের জন্য ঈদের কেনাকাটার টাকা জোগাড় করতে ভ্যানে যাত্রী নিয়ে ছুটছে বিভিন্ন জায়গায়।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে বসবাস কিশোর আসলামের। ওই এলাকার মৃত হাসেম হোসেনের ছেলে সে।মাসখানেক আগে তার বাবা অসুস্থজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। সংসারে ছিল বড়বোন ও মা। বাবার মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই বড়বোনের বিয়ে হয়ে যায়। এখন মাকে নিয়েই তার সংসার। প্রতিদিন ভ্যান চালিয়ে আয় হয় ১০০-১৫০ টাকা। সে টাকা দিয়ে সংসার চলে যায়। তবে আর দুদিন পর ঈদ।
ঈদে নিজের ও মায়ের জন্য কেনাকাটা করতে হবে। এজন্য দরকার বাড়তি টাকা। সেই বাড়তি টাকা আয়ের জন্য হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছে আসলাম। বাজার থেকে যাত্রী নিয়ে বিশ্রাম না নিয়েই আবার ছুটছে ভাড়ার আশায়।আসলাম জানায়, বাবা বেঁচে থাকতে সে স্কুলে যেত। পড়াশোনা করত। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর এখন সংসারের সম্পূর্ণ বোঝা তার ওপর। তাই সংসার চালানোর তাগিদে ভ্যান চালাতে হচ্ছে তাকে।